করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনকে উপেক্ষা করে শিমুলিয়ায়-বাংলাবাজার নৌরুট দিয়ে প্রতিদিনের মতো আজো রাজধানী ঢাকায় ছুটছেন দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ। তবে ফেরিতে পারাপার হওয়া যাত্রীদের মাঝে মাস্ক ব্যাবহার, স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো আগ্রহই চোখে পরেনি।
এছাড়া, কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হচ্ছে। বুধবার (৪ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া প্রান্তে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের উপচে পড়া ভিড়। আজও স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি যাত্রী ছিল ঘাটে। এছাড়া পণ্যবাহীসহ ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল চোখে পড়ার মতো। কঠোর বিধিনিষেধও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার থামছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের ব্যাবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ জানান, শিমুলিয়া ঘাটে সকাল থেকেই বাংলাবাজার থেকে আসা ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপরা ভিড় রয়েছে। এ নৌরুটে ভোর থেকে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ১৭টি ফেরির মধ্যে ৪টি রো রো, ৬টি কেটাইপসহ ১০টি ফেরি চলাচল করছে।
লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। পণ্যবাহী যানবাহন ও ব্যাক্তিগত গাড়িসহ প্রায় ২ শতাধিক গাড়ি রয়েছে পারের অপেক্ষায়। তিনি আরও জানান, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ খুব বেশি। বাংলাবাজার ঘাট থেকে আগত প্রতিটি ফেরিতেই চাপ রয়েছে। পোশাক কারখানা খুলেছে, তাই যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।